Date: May 21, 2025

দৈনিক দেশেরপত্র

collapse
...
Home / শিক্ষাঙ্গন / কুবি থেকে দখলমুক্ত হলো ব্যায়ামাগার - দৈনিক দেশেরপত্র - মানবতার কল্যাণে সত্যের প্রকাশ

কুবি থেকে দখলমুক্ত হলো ব্যায়ামাগার

May 19, 2025 09:33:46 PM   অনলাইন ডেস্ক
কুবি থেকে দখলমুক্ত হলো ব্যায়ামাগার

কুবি প্রতিনিধি:
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শিক্ষার্থীদের জন্য নির্মিত ব্যায়ামাগার দীর্ঘদিন ধরে দখলে রেখে সাংগঠনিক কার্যক্রম চালিয়েছে নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগ। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ব্যায়ামাগারটি দখলমুক্ত করে পুনরায় শিক্ষার্থীদের ব্যবহারের জন্য হস্তান্তর করেছে।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ২৮ অক্টোবর তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধুরী ব্যায়ামাগারটি উদ্বোধন করেন। তবে উদ্বোধনের পরপরই শাখা ছাত্রলীগের তৎকালীন সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজ এর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেন। এরপর থেকে এই কক্ষটি ছাত্রলীগের বিভিন্ন সাংগঠনিক কার্যক্রমের জন্য ব্যবহার করা হতো।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রকৌশল দপ্তরের তথ্যমতে, প্রায় সাড়ে ৪ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত এ ব্যায়ামাগারটি নিয়ম অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা কার্যালয়ের কাছে হস্তান্তর করার কথা ছিল। তবে বিভিন্ন প্রতিকূলতার কারণে সেটি তখন সম্ভব হয়নি।

জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ছাত্রলীগের সকল ধরনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে। প্রায় ১০ মাস পর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ব্যায়ামাগারটি শারীরিক শিক্ষা বিভাগের কাছে হস্তান্তর করে। এখন এটি প্রশাসনিক ভবনের পূর্বপাশে অবস্থিত টিন শেড বিল্ডিংয়ে স্থানান্তর করা হয়েছে।

ব্যায়ামাগারে আসা শিক্ষার্থী শান্ত দেবনাথ বলেন, “অনেক অপেক্ষার পর ব্যায়ামাগার পেয়েছি। তবে সরঞ্জাম কম এবং বৃষ্টির সময় পানি চুইয়ে পড়ে। প্রফেশনাল ট্রেইনার থাকলে আরও ভালো হতো।”

আরেক শিক্ষার্থী সৌরভ নন্দী বলেন, “ব্যায়ামাগার সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকে। কিন্তু সকালে ক্লাস থাকায় শরীরচর্চার সুযোগ পাই না। যদি সকাল ৬টা থেকে খোলা থাকতো, তাহলে সকালের সময়টা কাজে লাগাতে পারতাম। এছাড়া ব্যায়ামাগারে পানি ও পাখার কোনো ব্যবস্থা নেই।”

ব্যায়ামাগারের সরঞ্জাম ও সুযোগ-সুবিধা নিয়ে শারীরিক শিক্ষা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মনিরুল আলম বলেন, “প্রশাসন যা বলবে, আমি তাই করব। সরঞ্জাম ও ট্রেইনারের বিষয়ে প্রশাসন সিদ্ধান্ত নেবে।”

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী বলেন, “ব্যায়ামাগারের জন্য নির্ধারিত ভবন থাকা সত্ত্বেও সেটি অন্যত্র ব্যবহার হচ্ছিল। শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে সেটি পুনরায় মূল জায়গায় স্থানান্তর করা হয়েছে। বর্তমান অর্থবছরে বাজেট সংকট থাকলেও নতুন অর্থবছরে বাজেট পেলে ক্রীড়া কমপ্লেক্সে স্থায়ীভাবে ব্যায়ামাগারটি স্থাপন করা হবে, ইনশাআল্লাহ।”