
জামালপুরের মাদারগঞ্জ প্রথম শ্রেণির পৌরসভা হলেও সেখানে নাগরিক সুবিধার বাস্তবতা অনেকটাই শূন্য। গত ১৫ বছর ধরে পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ক্ষুদ্র জোনাইল এলাকার ২০টি পরিবার বসতবাড়ি থেকে বের হওয়ার জন্য একটি সরকারি রাস্তার অভাবে চরম দুর্ভোগে দিন কাটাচ্ছে।
ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন, এতদিন তাঁরা এক ব্যক্তির জমি ব্যবহার করে চলাচল করলেও বর্তমানে সেই জমির পথ বন্ধ করে দেওয়ায় গত এক সপ্তাহ ধরে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন। ফলে জরুরি প্রয়োজনে বাইরে যাওয়া, রিকশা বা ভ্যান বের করা তো দূরের কথা, কারও মৃত্যু হলেও লাশ বের করার পথটুকুও এখন আর অবশিষ্ট নেই।
ক্ষুব্ধ এক ভুক্তভোগী বেলু বেগম বলেন, “পৌরসভাকে আমরা ট্যাক্স ও ভ্যাট দিয়ে আসছি, কিন্তু কোনো সুবিধাই পাই না। চলাচলের জন্য একটা রাস্তাও নেই। কেউ মারা গেলে তাঁর লাশ বের করারও কোনো রাস্তা নেই। এত বছর ধরে ট্যাক্স দিলাম, আমাদের লাভটা কি?”
ভ্যানচালক ফজলুল ইসলাম বলেন, “ভ্যান চালাইয়া সংসার চলে। যে জায়গা দিয়া ভ্যান বাইর করতাম, সেইটা বন্ধ কইরা দিছে। এক সপ্তাহ ভ্যান বাইর করতেছি না, ঘরে খাওন বন্ধ হইয়া গেছে।”
বজলুর রশিদ নামের আরেক বাসিন্দা বলেন, “পৌরসভার কাছ থেকে কোনোদিন কিছুই পাই নাই। রাস্তা নাই, পানি জমলে যায় না, একদম কষ্টে আছি।”
এ নিয়ে মাদারগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর প্রশাসক নাদির শাহ বলেন, “পৌরসভা রাস্তা করে দিতে পারে, কিন্তু জমি কিনে রাস্তা করে দিতে পারবে না। এটি একটি ছোট পৌরসভা, সবকিছু সমাধান করা যাচ্ছে না।”
ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর অভিযোগ, শুধুমাত্র ট্যাক্স আদায়ের ক্ষেত্রে পৌর কর্তৃপক্ষ সক্রিয় থাকলেও নাগরিক অধিকার নিশ্চিতে তাদের কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেই। এখন তাঁরা দ্রুত রাস্তার স্থায়ী সমাধান চান।