
আশিকুর রহমান:
গাজীপুর মহানগরের বাসন থানাধীন ভোগড়া এলাকায় এরশাদ হত্যার রহস্য উদঘাটন ও হত্যাকারীদের গ্রেফতার করেছে গাজীপুর মেট্রোপলিটনের বাসন থানা পুলিশ।
এ হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত চার আসামিকে গতকাল বাসনের ইটাহাটা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকালে তাদের কাছ থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ১টি ধারলো চাপাতি ও একটি দা উদ্ধার করে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, শেরপুর জেলার শ্রীবর্দী থানার উত্তরঘুনাপাড়া এলাকার মৃত দেলোয়ার হোসেনের পুত্র মো. ইমরান হোসেন (৩৩), একই জেলার পশ্চিম পাড়া এলাকার মো. মোজাফর আলীর ছেলে মো. শাহ আলম (৩০), গাজীপুর মহানগরের বাসন থানার ইটাহাটা এলাকার মো. মোস্তফা কামালের ছেলে মো. শফিকুল ইসলাম (২৫), কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার মোল্লাকান্দি এলাকার মো. হোসেনের ছেলে শাকিল (২৬)। গ্রেফতার আসামিরা বাসন থানা এলাকায় বাসা ভাড়া করে বসবাস করে আসছিলেন।
হত্যার শিকার এরশাদ (৩৬) চট্টগ্রামের পাহাড়তলী থানার সরইপাড়া এলাকার মৃত সৈয়দ আলীর ছেলে। সে বাসন থানাধীন নলজানী এলাকায় বসবাস করতো। এরশাদ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহতের মা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছে বলে জানিয়েছেন গাজীপুর মেট্রোপলিটনের উপ-পুলিশ কমিশনার অপরাধ(উত্তর) আবু তোরাব মো. শামছুর রহমান।
সকালে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে আবু তোরাব মো. শামছুর রহমান আরো জানান, নিহত এরশাদের সাথে গ্রেফতারকৃত আসামি ইমরানের টাকা-পয়সা নিয়ে হাতাহাতি ও বাকবিতণ্ডা হয়। এরই জের ধরে গত ২১ অক্টোবর গ্রেফতারকৃত অপর আসামি শাকিলের মাধ্যমে এরশাদকে বাসন থানাধীন ভোগড়া এলাকায় ডেকে এনে কুপিয়ে হত্যা করে। হত্যাকালে নিহত এরশাদের হাতের অর্ধেক অংশ বিছিন্ন করে ফেলে। গ্রেফতারকৃতরা ছাড়াও হত্যাকাণ্ডে আরো অজ্ঞাতনামা ৪-৫ জন থাকার কথাও সংবাদ সম্মেলনে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী উপ-পুলিশ কমিশনার মো. খাইরুল আলম, সহকারী পুলিশ কমিশনার (সদর জোন) ফাহিম আসজাদ ও বাসন থানার অফিসার ইনচার্জ আবু সিদ্দিক।