
২২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে এমপিওভূক্ত শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের ঘোষণা না আসলে ২৪ তারিখ থেকে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা দিয়েছে জাতীয়করণ প্রত্যাশী মহাজোট। বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের মওলানা মোহাম্মদ আকরম খাঁ হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
জোটের আহবায়ক ও বাংলাদেশ বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারী ফোরামের সভাপতি অধ্যক্ষ মো. মাইন উদ্দিন বলেন, “স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পেরিয়ে গেলেও বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারিগণ পূর্ণাঙ্গ সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত। পাঠ্যক্রম, আইন এবং একই মন্ত্রণালয়ের অধীনে শিক্ষা ব্যবস্থা পরিচালিত হলেও সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারিগণের সুযোগ-সুবিধা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে বিরাট পার্থক্য বিরাজমান। বৈষম্য গুলো হলো- বাড়ি ভাড়া, উৎসবভাতা, চিকিৎসা ভাতা, পদোন্নতি না থাকা, সন্তানের শিক্ষা ভাতা, হাউজ লোন, বদলি প্রথা, চাকরি শেষে নেই পেনশনের সুবিধা।
জোটের সদস্য সচিব ও বাশিস মহাসচিব মো. জসিম উদ্দিন আহমেদ লিখিত বক্তব্যে বলেন, “শুধুমাত্র প্রাতিষ্ঠানিক আয় থেকেই কোনো ভর্তুকি ব্যতীরেকেই জাতীয়করণ সম্ভব।” তাই প্রতিষ্ঠানের আয় সরকারের কোষাগারে জমা নিয়ে জাতীয়করণ ঘোষনা এখন সময়ের দাবি।
জোটের যুগ্ম আহবায়ক ও বাংলাদেশ বেসরকারি মাদ্রাসা শিক্ষক-কর্মচারী ফোরাম এর সভাপতি অধ্যক্ষ মওলানা দেলাওয়ার হোসেন আজিজী। আরও বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ এমপিওভুক্ত শিক্ষক অনলাইন পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. শাহ আলমসহ অনেকে।
রহমান দুলালের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে জোরালো বক্তব্য উপস্থাপন করেন, প্রধান উপদেষ্টা ডক্টর মো. ইদ্রিস আলী, সমন্বয়কারী মো. রফিকুল ইসলামসহ বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে আগত নেতৃবৃন্দ।