
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারী এলাকায় বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহতের স্বজন ও আহতদের চিৎকারে ভারী হয়ে উঠেছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের পরিবেশ।
বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের পর বিস্ফোরণে এই পর্যন্ত ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে একজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তার নাম মমিনুল হক (২৭)। তার বাড়ি চট্টগ্রামের বাঁশখালী।
মমিনুল হকের বাবা ফরিদুল হক বলেন, তিন মাস আগে বিএম কনটেইনার ডিপোতে চাকরিতে ঢোকে মমিনুল হক। গতকাল শনিবার রাতে ছেলের সঙ্গে আমার শেষ কথা হয়।
তিনি বলেন, ছেলে আগুন লাগার পরপরই আমাদেরকে ফোনে জানিয়েছে বিষয়টি। এরপর ১০ মিনিট পরে আবার ফোন করে ছেলে বলে বিস্ফারণে তার একটি পা উড়ে গেছে। এরপরই ফোনের লাইন কেটে যায়। এরপর রাতে হাসপাতালে এসে ছেলের লাশ পেলাম। এই কথা বলেই কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।
চমেক হাসপাতালের সহকারী পরিচালক রাজীব পালিত বলেন, বিএম কন্টেইনার ডিপোতে আগুনের ঘটনায় রাত তিনটা পর্যন্ত দেড় শতাধিক ব্যক্তিকে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
চট্টগ্রামের বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীর ঢাকা পোস্টকে বলেন, চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আইসিইউতে রোগী শিফট করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া সিএমএইচে রোগী পাঠানো হচ্ছে।
আহত পুলিশ সদস্য তুহিনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আলাউদ্দিন তালকুদার।