
সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে শিক্ষার্থীরা অনির্দিষ্টকালের জন্য ‘কলেজ ক্লোজডাউন’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। তবে পূর্বঘোষিত সড়ক অবরোধ কর্মসূচি প্রত্যাহার করা হয়েছে।
সোমবার (১৮ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৯টায় কলেজের প্রধান ফটকে এই ঘোষণা দেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) থেকে শিক্ষার্থীরা সব ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করে ‘কলেজ ক্লোজডাউন’ কর্মসূচি পালন করবেন।
আন্দোলনের নতুন দিকনির্দেশনা অনুযায়ী- ১. সব ধরনের ক্লাস ও পরীক্ষা স্থগিত থাকবে; ২. শিক্ষার্থীরা কোনো একাডেমিক কার্যক্রমে অংশ নেবেন না; ৩. আন্দোলনের অংশ হিসেবে কলেজ ক্যাম্পাস কার্যত বন্ধ থাকবে।
মঙ্গলবার সকাল থেকে মহাখালী রেল ক্রসিং ও আমতলী এলাকায় সড়ক অবরোধের ঘোষণা থাকলেও তা বাতিল করা হয়েছে। আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সাফায়েত শফিক জানিয়েছেন, মঙ্গলবার সকালে সচিবালয়ে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠক থেকে আশানুরূপ সিদ্ধান্ত পাওয়া গেলে আন্দোলন প্রত্যাহার করা হবে, অন্যথায় কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।
এর আগে, সোমবার সকালে শিক্ষার্থীরা মহাখালী এলাকায় সড়ক ও রেলপথ অবরোধ করেন। এসময় একটি ট্রেন অবরোধ ভেঙে যেতে চাইলে পাথর নিক্ষেপে শিশুসহ বেশ কয়েকজন আহত হন এবং ট্রেনের জানালা ভাঙচুর হয়। প্রায় পাঁচ ঘণ্টা ধরে সড়ক ও রেলপথ অবরোধে ঢাকার সঙ্গে সারাদেশের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
বিকেলে মন্ত্রণালয়ে আলোচনার পর অবরোধ তুলে নেওয়া হলেও সন্ধ্যায় দাবি পূরণ না হওয়ায় শিক্ষার্থীরা ফের সড়ক অবরোধে নামেন। পরে রাত সাড়ে ৯টায় শিক্ষার্থীরা দ্বিতীয় দফায় অবরোধ তুলে নেন।
সরকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা দাবি আদায়ে আপাতত শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেছেন। মঙ্গলবারের বৈঠকে সমাধান না এলে পরবর্তী পদক্ষেপ ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনের নেতারা।