Date: May 10, 2025

দৈনিক দেশেরপত্র

collapse
...
Home / শিক্ষাঙ্গন / রাবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে ‘ব্যক্তিগত আক্রমণ ও অশোভন আচরণের’ অভিযোগ - দৈনিক দেশেরপত্র - মানবতার কল্যাণে সত্যের প্রকাশ

রাবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে ‘ব্যক্তিগত আক্রমণ ও অশোভন আচরণের’ অভিযোগ

May 10, 2025 02:59:20 AM   অনলাইন ডেস্ক
রাবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে ‘ব্যক্তিগত আক্রমণ ও অশোভন আচরণের’ অভিযোগ

রাবি সংবাদদাতা:
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এটিএম রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের সাথে ‘ব্যক্তিগত আক্রমণ ও অশোভন আচরণের’ অভিযোগ উঠেছে। পরিবারের আর্থিক অবস্থা, পোশাক পরিচ্ছদ, শারীরিক গঠনসহ নানা বিষয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করার অভিযোগ তুলেছেন শিক্ষার্থীরা।

এ বিষয়ে গত বুধবার (০৭ মে) বিভাগের সভাপতি বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের মাস্টার্সের 'বি' গ্রুপের শিক্ষার্থীরা।

অভিযোগপত্রে শিক্ষার্থীরা উল্লেখ করেন, 'পোশাক দেখলেই বুঝা যায় কোন পরিবার থেকে এসেছো', 'বাবার কর্ম নিয়ে কটূক্তি', 'যাদের বাবা বিদেশে থাকে তারা তো মানুষ হয় না', 'টোকাই' বলে সম্মোধন, 'দক্ষিণ বঙ্গের মানুষকে (বি-ক্লাস) বলে কটূক্তি' করা, শিক্ষার্থীদের রোল নাম্বার ও নাম টার্গেট করে রাখা সহ আরও নানা বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে অবমাননাকর আচরণ করে আসছেন অভিযুক্ত শিক্ষক। এছাড়াও কালো বোরখা পরা নারী শিক্ষার্থীদের কালো কাকের সাথে তুলনা করায় তার বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছেন শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের ভাষ্য অনুযায়ী, গত বুধবার সকাল ১০টায় ২০৪ নং কক্ষে অধ্যাপক এটিএম রফিকুল ইসলাম তাদের প্রতি অশোভন আচরণ করেন। এর আগেও তাদের পরিবার, আর্থিক অবস্থা, পোশাক পরিচ্ছদ, শারীরিক গঠনসহ নানা বিষয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন, 'রফিকুল স্যারের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ রয়েছে। তিনি অনেক সময় আমাদের সাথে খারাপ ব্যবহার করতেন এবং পছন্দের শিক্ষার্থীদের খাতায় বেশি নাম্বার দিতেন।'

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত শিক্ষক এটিএম রফিকুল ইসলাম বলেন, 'শিক্ষার্থীদের সাথে আমার কোনো ঝামেলা হয়নি। বিভাগের এক সিনিয়র শিক্ষকের সাথে সামান্য কথা কাটাকাটি হয়েছিল, সেটাই ভুলভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে। তবে বিষয়টি নিয়ে অ্যাকাডেমিক কমিটির মিটিংয়ে বসে সমাধান করা হয়েছে।'

এ বিষয়ে বিভাগের সভাপতি ড. মুনসি মঞ্জুরুল হক বলেন, 'ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগটি আমলে নিয়ে অ্যাকাডেমিক মিটিং ডাকা হয়। মিটিংয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক সিনিয়র শিক্ষকের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন এবং শিক্ষার্থীদের কাছে ভুল স্বীকার করেছেন। ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা ঘটবে না বলে আশ্বস্ত করেছেন। তবে এমন কিছু ঘটলে বিভাগের পক্ষ থেকে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'