
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোয় মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে গত ছয় বছর ধরে কাজ করছিলেন নুরুল কাদের। ডিপোয় আগুন লাগার খবর পেয়ে গতকাল শনিবার রাতে ঘটনাস্থলে আসেন। এরপর থেকে তার খোঁজ মিলছে না। বন্ধ রয়েছে সেলফোনও। এ অবস্থায় তার জীবিত থাকা নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন স্বজনরা।
জানা গেছে, চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার বৈলছড়িতে নুরুল কাদেরের বাড়ি। গতকাল রাতে বিস্ফোরণের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান তিনি। রাতে পরিবারের সঙ্গে দুয়েকবার ফোনেও কথা বলেছেন তিনি। একটা সময় পর তার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। বন্ধ পাওয়া যায় তার সেলফোন। পরে তার খোঁজে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসেন স্বজনরা। কিন্তু সকাল ৯টা পর্যন্ত তার খোঁজ মেলেনি।
নুরুল কাদেরের ফুফাতো ভাই মনির হোসেন বলেন, রাতে সব শেষ যখন নুরুলের সঙ্গে কথা হয় তখন সে বলেছিল বিস্ফোরণের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসেছে। কিন্তু এর কিছুক্ষণ পর থেকেই তার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তার সন্ধানে রাতেই আমি ঘটনাস্থলে আসি। কিন্তু ডিপো এলাকায় তাকে পাইনি। এরপর আমি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে খোঁজ নিই। কিন্তু সেখানেও তাকে না পেয়ে চট্টগ্রামের অন্য সব বেসরকারি হাসপাতালে খোঁজ নিয়েছি। কিন্তু সেসব স্থানেও তাকে পাইনি।
তিনি বলেন, আমি জানি না আমার ভাই বেঁচে আছে নাকি মারা গেছে। যে অবস্থায়ই সে থাকুক আমি তাকে চাই। জীবিত হোক কিংবা মৃত। তাকে উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিসসহ সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতা কামনা করছি।
উল্লেখ্য, গতকাল শনিবার (৪ জুন) রাত সাড়ে ৯টার দিকে সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারী এলাকার বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, এ দুর্ঘটনায় ১৬ জন নিহত ও ২ শতাধিক আহত হয়েছেন। আহতদের চট্টগ্রাম মেডিকেলসহ আশপাশের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঘটনার পর ফায়ার সার্ভিসের ১৫টি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। পরবর্তীতে ইউনিট আরও বাড়ানো হয়। সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, ফায়ার সার্ভিসের ২৫টি ইউনিটের ১৮৩ কর্মী আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। এছাড়া নোয়াখালী, ফেনী, লক্ষ্মীপুর ও কুমিল্লাসহ আশপাশের বিভিন্ন জেলা থেকেও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আগুন নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ করছেন।