
আশিকুর রহমান:
আসন্ন দ্বাদশ নির্বাচনে গাজীপুর-১ আসনের কাশিমপুর থানা এলাকার নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়েছে ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ রেজাউল করিম রাসেল। শুক্রবার দিনব্যাপী কাশিমপুর থানার ছয়টি ওয়ার্ডে প্রচারণার কার্যক্রর্ম চলে। সকালে কাশিমপুর ১নং ওয়ার্ডের শিরামপুর চৌরাস্তায় পথসভা শুরু হয়। পরে এক এক করে ছয়টি ওয়ার্ডে পথসভা ও গণসংযোগ করেন স্বতন্ত্র প্রার্থী রেজাউল করিম রাসেল।
নির্বাচনী প্রচারণাকালে স্বতন্ত্র প্রার্থী রেজাউল করিম রাসেলের সাথে ছিলেন, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র ও গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম। এছাড়াও আওয়ামীগের অঙ্গ সংগঠনের অনেক নেতা কর্মীরাও প্রচারণায় অংশ গ্রহণ করেন।
স্বতন্ত্র প্রার্থী রেজাউল করিম রাসেলের পক্ষে কাশিমপুরের জনসাধারণের কাছে ভোট প্রার্থনা করেন সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম। নির্বাচনী প্রচারণাকালে জাহাঙ্গীর আলম গাজীপুর-১ আসনের আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন(নৌকা)প্রার্থী মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী মোজাম্মেল হককে উদ্দেশ্যে করেন বলেন, জুট ব্যবসায়ীদের থেকে টাকা নিয়ে মোজাম্মেল হক নির্বাচনে খরচ করছেন। আপনার বয়স হয়েছে, ১৫ বছর জাতীয় সংসদে প্রতিনিধিত্ব করেছেন। এবার সরে যাওয়ার সময় হয়েছে।
এসময় জাহাঙ্গীর আলম আরো বলেন, গত ১৫ বছরে গাজীপুরে কে মানুষের জন্য কতটা করেছে, আর নিজের জন্য কতটা করেছে তার পরীক্ষা হবে আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচন। প্রধানমন্ত্রীর স্পষ্ট নির্দেশ, এই পরীক্ষায় পাশ করে সংসদে যেতে হবে। সুতরাং কারচুপির কোন সুযোগ নেই।
মেয়রের দায়িত্ব পালনকালে গাজীপুর মহানগরের উন্নয়নে মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রীর কোন সহযোগিতা পান নি, এমন অভিযোগ করে সাবেক এই মেয়র বলেন, জনপ্রতিনিধিরা যখন গার্মেন্টসের জুট ব্যবসার সাথে জড়িয়ে যান, জুট ব্যবসায়ীদের সমিতি খুলে বসেন, তখন জনগণের সেবা করার সময় ও সুযোগ তাদের হয় না। গত ১৫ বছরে আমরা এটাই দেখে এসেছি। আসন্ন নির্বাচনে গাজীপুর ১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী রেজাউল করিম রাসেলকে ভোট দেয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের নতুন নেতৃত্ব দরকার।
স্বতন্ত্র প্রার্থী রেজাউল করিম রাসেল বলেন, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র হিসেবে জাহাঙ্গীর আলম যে মহাপরিকল্পনা হাতে নিয়েছিলেন, তা সমাপ্ত করার আগেই তাকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে সরিয়ে দেয়া হয়। ফলে থমকে দাঁড়ায় গাজীপুর মহানগরের উন্নয়ন। এমনকি পরবর্তী সিটি নির্বাচনে তাকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাও করতে দেয়া হয় নি। কিন্তু মানুষের অকুণ্ঠ সমর্থন ও ভালোবাসার কারণে তার মা জায়েদা খাতুন মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। আসন্ন নির্বাচনে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হতে পারলে মা ছেলের মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে সার্বিক সহযোগিতা করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করে রাসেল বলেন, সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করাই আমার এবারের নির্বাচনী ইশতেহার।