Date: October 25, 2025

দৈনিক দেশেরপত্র

collapse
...
Home / রাজনীতি / নির্বাচনে বিএনপি জয়ী হলে প্রধানমন্ত্রী কে হবেন, জানালেন মির্জা ফখরুল - দৈনিক দেশেরপত্র - মানবতার কল্যাণে সত্যের প্রকাশ

নির্বাচনে বিএনপি জয়ী হলে প্রধানমন্ত্রী কে হবেন, জানালেন মির্জা ফখরুল

October 24, 2025 06:22:58 PM   অনলাইন ডেস্ক
নির্বাচনে বিএনপি জয়ী হলে প্রধানমন্ত্রী কে হবেন, জানালেন মির্জা ফখরুল

নির্বাচনে বিএনপি জিতলে প্রধানমন্ত্রী কে হবেন, তা নিয়ে দলটি খোলাখুলি অবস্থান জানিয়েছে। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সম্প্রতি একটি গণমাধ্যমকে সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। নির্বাচনে বিএনপি যদি জয়ী হয়, প্রধানমন্ত্রী কে হবেন— এই প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া যদি নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন এবং নিজেকে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনের জন্য উপযুক্ত মনে করেন, তাহলে তিনিই প্রধানমন্ত্রী হবেন। তবে যদি এটি সম্ভব না হয়, তাহলে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হবেন— এতে কোনো সন্দেহ নেই।

বেগম খালেদা জিয়ার নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে ফখরুল জানান, তার শারীরিক অবস্থা এ বিষয়ে নির্ধারক হবে। যদি তার স্বাস্থ্য ভালো থাকে, তিনি নিশ্চয়ই নির্বাচনে অংশ নেবেন। অন্যদিকে, যদি শারীরিক অবস্থার কারণে অংশগ্রহণ সম্ভব না হয়, তবে চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

আসন্ন নির্বাচনের প্রস্তুতি হিসেবে বিএনপি এবার প্রচারে নতুন মাত্রা যোগ করতে যাচ্ছে। শুধু মাঠ পর্যায়ে নয়, ডিজিটাল দুনিয়াতেও দল সমানভাবে সক্রিয় হতে চায়। সে লক্ষ্যেই গঠিত হচ্ছে নতুন একটি অনলাইন ও তৃণমূলভিত্তিক প্ল্যাটফর্ম— ‘বাংলাদেশ গ্রাসরুটস নেটওয়ার্ক’ (বিজিএন)। এই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বিএনপি তৃণমূলের শক্তিকে সুসংগঠিত করবে এবং অনলাইন প্রচারকে আরও জোরদার করবে। এছাড়া অপপ্রচার মোকাবিলায় কার্যকর প্রতিরোধ গড়ে তোলাও বিজিএনের অন্যতম লক্ষ্য।

বিজিএনের গঠন সম্প্রতি বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে অনুমোদিত হয়েছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী, শিগগিরই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে এটি ঘোষণা করা হবে। বিজিএনের কেন্দ্রীয় কমিটিতে প্রথমে ১৫ নেতা থাকবেন, প্রয়োজনে সংখ্যা বাড়ানো হবে। বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ড. জিয়াউদ্দিন হায়দার নেতৃত্ব দেবেন। প্রত্যেক কেন্দ্রীয় নেতা ২০টি আসনের সমন্বয় করবেন।

দেশের ৩০০টি সংসদীয় আসনে দুজন করে মোট ৬০০ স্নাতক পাস অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট নিয়োগ দেওয়া হবে। এরা সরাসরি তৃণমূল পর্যায়ে কাজ করবেন এবং নিয়মিত কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে যুক্ত থাকবেন। তাদের প্রতি মাসে নির্দিষ্ট হারে সম্মানী দেওয়া হবে। এছাড়া বিজিএন স্থায়ী কমিটিতে নিয়মিত রিপোর্ট জমা দেবে, যা দলের নীতিনির্ধারণী আলোচনায় ব্যবহৃত হবে। ইতিমধ্যে সম্ভাব্য অ্যাক্টিভিস্টদের সংক্ষিপ্ত আত্মজীবনী জমা পড়েছে এবং যাচাই-বাছাই শেষে চূড়ান্ত তালিকা তৈরি করা হচ্ছে।

গত ৮ অক্টোবর বিএনপির বিভাগীয় সাংগঠনিক ও সহ-সাংগঠনিক সম্পাদকদের সঙ্গে সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর বৈঠকে বিজিএনের কাঠামো ও কার্যক্রম নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। দলের ধারণা, এই নতুন উদ্যোগ শুধুমাত্র তৃণমূল স্তরে সাংগঠনিক সক্ষমতা বাড়াবে না, বরং অনলাইন স্পেসে ‘বট বাহিনী’র প্রভাব মোকাবিলায় নতুন সম্ভাবনাও তৈরি করবে। বিএনপির লক্ষ্য হলো নির্বাচনী প্রচারে দলের বার্তা দেশের প্রতিটি প্রান্তে এবং অনলাইন মাধ্যমে সক্রিয়ভাবে পৌঁছে দেওয়া।

মাঠ পর্যায়ের কাঠামো হলো এই উদ্যোগের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। দেশের প্রতিটি সংসদীয় আসনে দুজন করে অ্যাক্টিভিস্ট দায়িত্ব পালন করবেন এবং তারা বিজিএনের মূল চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করবেন। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বই এই পুরো সংগঠনের কার্যক্রম তদারকি করবে।