Date: May 01, 2025

দৈনিক দেশেরপত্র

collapse
...
Home / শিক্ষাঙ্গন / পাঠ্যবইয়ে যুক্ত হচ্ছে জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থান: গুরুত্ব পাচ্ছেন শেরেবাংলা, ভাসানী ও জিয়া - দৈনিক দেশেরপত্র - মানবতার কল্যা...

পাঠ্যবইয়ে যুক্ত হচ্ছে জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থান: গুরুত্ব পাচ্ছেন শেরেবাংলা, ভাসানী ও জিয়া

November 05, 2024 11:13:33 AM   অনলাইন ডেস্ক
পাঠ্যবইয়ে যুক্ত হচ্ছে জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থান: গুরুত্ব পাচ্ছেন শেরেবাংলা, ভাসানী ও জিয়া

বিনামূল্যের নতুন পাঠ্যবইয়ে যুক্ত হচ্ছে ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান। ইতিহাস অংশে বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছেন বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ও প্রভাবশালী চরিত্র মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, অবিভক্ত বাংলার প্রথম প্রধানমন্ত্রী শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান সেনাপতি এম এ জি ওসমানী এবং ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের ১১ নম্বর সেক্টর কমান্ডার (পরবর্তীতে রাষ্ট্রপতি) মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান। এছাড়া জাতীয় চার নেতাকেও গুরুত্ব দেওয়া হবে।

সূত্র জানায়, পাঠ্যবইয়ের ইতিহাস অংশে অতিকথন বাদ যাবে। পূর্বে কম ফোকাস করা বিষয়গুলোর প্রতি এখন অধিক মনোযোগ দেওয়া হবে। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ বিশেষ গুরুত্ব পাবে।

জুলাই অভ্যুত্থানের ইতিহাসও তুলে ধরা হবে। বইয়ের প্রচ্ছদ ও পেছনের পাতায় জুলাই অভ্যুত্থানের দেয়ালচিত্র এবং লিখন যুক্ত হতে যাচ্ছে। তবে পাঠ্যবইয়ের পেছনের অলঙ্করণ এবং শেখ হাসিনার ছবি ও বাণী বাদ দেওয়া হবে।

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) জানায়, বর্তমানে নতুন শিক্ষাক্রম চলছে- প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয়, ষষ্ঠ, সপ্তম, অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নতুন শিক্ষাক্রমটি স্থগিত করে পুরোনো শিক্ষাক্রমে ফিরে এসেছে। ২০১২ সালের শিক্ষাক্রমের সর্বশেষ সংস্করণ পরিমার্জন করে ২০২৪ সালের পাঠ্যবই দেওয়া হবে। ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী প্রণীত পাঠ্যবইয়ে কিছু পরিমার্জন শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া হবে। চতুর্থ থেকে দশম শ্রেণির পাঠ্যবই পুরোনো শিক্ষাক্রমের আলোকে পরিমার্জন করা হবে।

জানা যায়, পাঠ্যবইয়ে জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের চেতনার প্রতিফলন থাকবে। পাঠ্যবই প্রণয়নের জন্য সময় কম পাওয়ায় অভ্যুত্থানের ঘটনা পাঠ্য হিসেবে রাখা সম্ভব না হলেও দেয়ালচিত্র ও লিখন রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। বাংলা, ইতিহাস, বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বইয়ের প্রচ্ছদে বা কোনও অংশে এসব যুক্ত হবে।

এদিকে, পাঠ্যবইয়ের পেছনের পাতায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যেসব ছবি, উদ্ধৃতি ও বাণী রয়েছে সেগুলো বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। নতুন করে বাণী চিরন্তন যুক্ত হবে।

পাঠ্যবই পরিমার্জনের সঙ্গে যুক্ত লেখক রাখাল রাহা বলেন, ‘আমরা পুরনো বইয়ের পরিমার্জন করছি। ২০১২ সালের শিক্ষাক্রমের সর্বশেষ সংস্করণের বইগুলো পরিমার্জনের সুপারিশ করছি।’

মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের জায়গায় কী ধরনের পরিবর্তন আসতে পারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের জায়গায় বর্তমান সরকারের অবস্থান হচ্ছে—আমরা কাউকে ছোট কিংবা বড় করে বই পরিমার্জন কার্যক্রম করবো না। ৭ মার্চ, ১৬ ডিসেম্বর, ২৬ মার্চ, ১০ এপ্রিল এগুলোয় কাউকে ছোট বা কাউকে বড় করার কথা আমাদের বলা হয়নি।’

এনসিটিবির চেয়ারম্যান এ কে এম রিয়াজুল হাসান বলেন, ‘অতিরঞ্জিত কিছু থাকলে তা বাদ যাবে। নতুন কিছু যুক্ত হতে পারে, তবে তা সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করে।’