Date: May 18, 2025

দৈনিক দেশেরপত্র

collapse
...
Home / সারাদেশ / শিক্ষক-ছাত্রীকে জিম্মি করে টাকা নেয়ার অভিযোগে পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন - দৈনিক দেশেরপত্র - মানবতার কল্যাণে সত্যের প্রক...

শিক্ষক-ছাত্রীকে জিম্মি করে টাকা নেয়ার অভিযোগে পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন

May 17, 2025 04:36:05 PM   অনলাইন ডেস্ক
শিক্ষক-ছাত্রীকে জিম্মি করে টাকা নেয়ার অভিযোগে পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ফাইন্যান্স বিভাগের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে এক ছাত্রীর সাথে আপত্তিকর অবস্থায় ধরা পড়ার অভিযোগকে কেন্দ্র করে পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ১১ মে সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনায় ওই শিক্ষক ও ছাত্রীকে ব্ল্যাকমেইল করে তিন লক্ষ আড়াই হাজার টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে ক্যাম্পাসের দুই সাংবাদিকসহ ৪ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে। এ নিয়ে শনিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন মার্কেটের আমতলায় উভয় পক্ষ সংবাদ সম্মেলন করেন।

সংবাদ সম্মেলনে ওই ছাত্রী অভিযোগ করে বলেন, কয়েকদিন পর তার পরীক্ষা থাকায় পড়া বুঝতে স্যারের চেম্বারে যান। সকালে যাওয়ার কথা থাকলেও স্যার ব্যস্ত থাকায় বিকেলে যান এবং পড়া বুঝতে বুঝতে সন্ধ্যা হয়ে যায়। এ সময় হঠাৎ কয়েকজন স্যারের চেম্বারে নক করে। স্যার দরজা খুললে তারা রুমে প্রবেশ করে। এরপর তারা প্রথমে তার গায়ে হাত দিলে ওড়না পড়ে যায়। তারা তাকে ধর্ষণের হুমকি দেয় এবং মোবাইলে ভিডিও করার কথা বললে তিনি টেবিলের নিচে লুকিয়ে পড়েন। পরে তাদের চাপের মুখে তিনি গামছা মাথায় নিয়ে চেম্বার থেকে বের হয়ে যান। এরপর তারা পাঁচ লাখ টাকা দাবি করে। এক পর্যায়ে শিক্ষক হেদায়েত উল্লাহ তার নিরাপত্তার ভয়ে এক লক্ষ টাকা দিয়ে দেন এবং পরদিন আরও দুই লক্ষ টাকা পরিশোধ করেন।

ওই ছাত্রী সাংবাদিক সাজ্জাদ হোসেন সজীব (কালবেলার রাবি প্রতিনিধি), সিরাজুল ইসলাম সুমন (খবরের কাগজের রাবি প্রতিনিধি), নাজমুস সাকিব (আইন বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী) এবং আতাউল্লাহ (আইবিএ বিভাগের শিক্ষার্থী ও ছাত্র ইউনিয়নের (একাংশের) রাবি শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক) - এই চারজনের বিরুদ্ধে অর্থ কেলেঙ্কারির অভিযোগ আনেন।

অন্যদিকে, অভিযুক্ত সাংবাদিক সাজ্জাদ ও সুমন পাল্টা সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন। শনিবার বেলা ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন মার্কেটে তারা এ সম্মেলন করেন।

সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, গত ১১ মে সন্ধ্যায় এক স্যারের মাধ্যমে তারা জানতে পারেন, হেদায়েত উল্লাহ স্যার তার চেম্বারে এক ছাত্রীসহ অবস্থান করছেন। খবর পেয়ে কয়েকজন শিক্ষার্থী প্রক্টর স্যারের অনুমতিক্রমে চেম্বারের সামনে যান। সেখানে গিয়ে দেখেন, রুমের লাইট বন্ধ। নক করলে স্যার নিজেই দরজা খুলে দেন। রুমে প্রবেশের পর টেবিলের নিচে ওই ছাত্রীকে লুকিয়ে থাকতে দেখেন।

তারা আরও বলেন, ছাত্রীটি তখন অনুরোধ করে বলেন, যেন ভিডিও বা সংবাদ প্রকাশ না করা হয়, অন্যথায় তিনি আত্মহত্যার মতো চরম সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। তখন তারা প্রক্টর স্যারকে কল করেন, কিন্তু হেদায়েত উল্লাহ স্যারের অনুরোধে বিষয়টি বিস্তারিত জানান না। পরবর্তীতে উপাচার্যকে বিষয়টি জানানো হলে তিনি লিখিত অভিযোগ করতে বলেন এবং অভিযুক্তদের পরিচয় গোপন রাখার প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু এর মধ্যেই তাদের অজ্ঞাতে ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

তারা স্পষ্টভাবে জানান, তাদের সঙ্গে অভিযুক্ত শিক্ষক বা ছাত্রীর কোনো ধরনের আর্থিক লেনদেন হয়নি। তাদের উদ্দেশ্য ছিল শুধু একটি অনৈতিক ঘটনার যথাযথ প্রতিবাদ ও প্রশাসনকে অবহিত করা।

তারা আরও বলেন, ঘটনার সত্যতা আড়াল করতে কেউ যেন ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা না করে, সে বিষয়ে সকলকে সতর্ক থাকার অনুরোধ জানাচ্ছেন।