Date: April 28, 2024

দৈনিক দেশেরপত্র

collapse
...
Home / সারাদেশ / ঢাকা / শরীয়তপুরে নদী সাঁতরে সংঘর্ষ, আহত ৩০ - দৈনিক দেশেরপত্র - মানবতার কল্যাণে সত্যের প্রকাশ

শরীয়তপুরে নদী সাঁতরে সংঘর্ষ, আহত ৩০

March 28, 2024 07:36:39 PM   জেলা প্রতিনিধি
শরীয়তপুরে নদী সাঁতরে সংঘর্ষ, আহত ৩০

এনামুল হক:
গত ৯ মার্চ অনুষ্ঠিত শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার কাঁচিকাটা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জয়ী ও পরাজিত প্রার্থীদের সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।

বুধবার (২৭ মার্চ) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত উপজেলার সখিপুর থানার কাঁচিকাটা ইউনিয়নের দক্ষিণ মাথাভাঙা এলাকার নদী সাঁতরে ও নদির পাড়ে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি বলে জানিয়েছেন থানা পুলিশ ।

এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, পদ্মা নদী বেষ্টিত কাঁচিকাটা ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ৪ জন প্রার্থী। এতে আনারস প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত হন নুরুল আমিন দেওয়ান। আর পরাজিত হন চশমা প্রতীকের এইচ এম কামরুল ইসলাম, মোটরসাইকেল প্রতীকের ফজলুল হক (কাওছার মোল্লা) ও ঘোড়া প্রতীকের আব্দুল হাই খাঁন। নির্বাচনের পর থেকে জয়ী প্রার্থীর সমর্থক ও পরাজিত তিন প্রার্থীর সমর্কদের মধ্যে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে আসছিল। গত সোমবার বিজয়ী চেয়ারম্যান নুরুল আমিন দেওয়ানের সমর্থক নজির খানের বাড়িতে হামলা চালায় পরাজিত তিন প্রার্থীর সমর্থকরা। সে ঘটনার জেরে বুধবার দেশীয় অস্ত্র নিয়ে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে চাঁদপুর, মুন্সীগঞ্জ ও ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

কাঁচিকাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আমিন দেওয়ান অভিযোগ করে বলেন, পরাজয় মেনে নিতে না পেরে পরাজিত লোকজন কয়েকদিন ধরে মারামারির প্রস্তুতি নিয়েছে। তারা আমার সমর্থকদের বাড়ি ভাঙচুর করেছে, লোকজনকে আহত করেছে।

তবে পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী এইচ এম কামরুল ইসলাম বলেন, কারা কারা এ সংঘর্ষ করেছে আমি জানি না। তাছাড়া কী নিয়ে মারামারি হয়েছে সেটাও বলতে পারছি না।

এ বিষয়ে সখিপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান বলেন, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে পরাজিত তিন প্রার্থী ও বিজয়ী চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে প্রায় ২০ থেকে ৩০ জন আহত হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। আমরা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুইজনকে আটক করেছি। এ ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি।