
শরীয়তপুর সংবাদদাতা:
শরিয়তপুরে ৪০০ কেজি জাটকা ইলিশসহ ৬ জনকে আটক করেছে নৌ পুলিশ। পরে জাটকা মাছগুলো বিভিন্ন এতিমখানায় দান করে দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার ভোর ৪টার দিকে শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলার কুচাইপট্টি ইউনিয়নের সাতপাড়া গ্রামের মেঘনার নদীর শাখা থেকে জাটকা মাছসহ ৬ জনকে আটক করেছে নরসিংহপুর নৌপুলিশ ফাঁড়ির একটি টিম।
আটককৃতরা হলেন, বরিশালের হিজলা থানার আব্দুর রসিদ মাঝির ছেলে শরীফ মাঝি, আবুল হোসেন মাঝির ছেলে শাহিন মাঝি, মুকবুল আহমেদ সরদারের ছেলে আনিছ সর্দার ও ভোলা জেলার রাজাপুর ইউনিয়নের চরমনসা গ্রামের আবু তাহের ডাক্তারের ছেলে মো. সাগর। বাকি দুইজন অপ্রাপ্তবয়স্ক।
নৌ পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সরকার প্রতিবছর পহেলা নভেম্বর থেকে ৩১ মে পর্যন্ত জাটকা ইলিশ মাছ নিধন নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। এ সময় জাটকা ইলিশ নিধন, ক্রয়-বিক্রয়, সংরক্ষণ, পরিবহণ আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়। কিন্তু বেশি লাভের আশায় এক শ্রেণির ব্যবসায়ী গরিব জেলেদের লোভ দেখিয়ে অগ্রিম টাকা দিয়ে থাকে। অগ্রিম টাকার ঋণ শোধ করতে জেলেরা এ সময় জাটকা ইলিশ নিধন করে। শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে জেলার সখিপুর থানার নরসিংহপুর নৌ পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে বরিশালের অরাকুল মাছঘাট থেকে দুইটি নৌকাযোগে জাটকা ইলিশ পরিবহণ করে শরীয়তপুরের গোসাইরহাটে বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। পরে নৌপুলিশ কুচাইপট্টির সাতপাড়া গ্রামের মেঘনা নদীতে অভিযান পরিচালনা করে ৪০০ কেজি জাটকা ইলিশ মাছ জব্দ করেছে পুলিশ। এ সময় জাটকা পরিবহণ করা ৬ জনকে আটক করা হয়েছে। এদের মধ্যে ২ জন অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় তাদের মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন নৌ পুলিশ। জব্দকৃত জাটকা ইলিশ মাছগুলো বিভিন্ন এতিমখানা ও লিল্লাহ বোর্ডিংয়ে বিতরণ করে দেওয়া হয়েছে।
নরসিংহপুর নৌ পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক মো. নাজমুল ইসলাম বলেন, গোপনের সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি কুচাইপট্টি জাটকা ইলিশ মাছ বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে নদী পথে নিয়ে যাচ্ছে একদল লোক। পরে অভিযান পরিচালনা করে ৪০০ কেজি জাটকা ইলিশসহ ৬ জনকে আটক করেছে নৌ পুলিশ। এদের মধ্যে দুইজনের বয়স কম হওয়ায় তাদের মুচলেকা নেওয়া হবে এবং বাকিদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হবে। জব্দকৃত জাটকা মাছগুলো বিভিন্ন এতিমখানায় বিতরণ করা হয়েছে। ইলিশ মাছ ( জাটকা) নিধনবিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকবে।