
তরুন তরুনীরা তোমরা চাকুরী পিছনে না ছুটে নিজেরা উদ্যোক্তা হয়ে আরো ১০ জনকে চাকুরী সুযোগ করে দাও।
বুধবার দুপুরে ফেনী পিটিআই স্কুল মাঠে হার পাওয়ার প্রকল্পের আওতায় তিন জেলার নারী প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে ল্যাপটপ বিতরণ অনুষ্ঠান এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে ১৭ কোটি মানুষ, ৫ কোটি ছাত্র ছাত্রী। বাংলাদেশে প্রতিবছর প্রায় ২০ থেকে ২৫ লক্ষ তরুণ তরুণী কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করছে। তাদের প্রত্যেককে কি চাকরি দেওয়া সম্ভব সরকারের পক্ষে? তাহলে এই ২০ থেকে ২৫ লক্ষ ছেলে মেয়ে কি করবে? তারা কি বিদেশ চলে যাবে? তাহলে আমাদের এমন কিছু ব্যবস্থা করতে হবে যাতে আমাদের ছেলে মেয়েরা নিজের শহরে নিজের ঘরে নিজ গ্রামে বসে আর্থিকভাবে সচ্ছলতায় এসে দেশের উন্নয়নে অংশগ্রহণ করতে পারে সে লক্ষ্যে সরকার কাজ করতেছে।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, ফোর-জি প্রতিশ্রুত স্পিড যাতে প্রত্যেকটি মোবাইল নেটওয়ার্ক কোম্পানি নিশ্চিত করে এবং দেশজুড়ে বাড়িতে বাড়িতে সুলভ মূল্যে ব্রডব্যান্ড সংযোগ পায় সেজন্য কাজ করা হচ্ছে। এ জেলায় ১১৪টি শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব হয়েছে। এখানে আরও ১০০টি ল্যাব স্থাপন করা হবে।
বক্তব্যের শেষে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের হার পাওয়ার প্রকল্পের আওতায় ফেনী, লক্ষ্মীপুর ও চাঁদপুর জেলার ৭৪৫ জন নারী প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে ল্যাপটপ তুলে দেন অতিথিরা।
ফেনী জেলা প্রশাসক মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, ফেনী-১ আসনের সংসদ সদস্য আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম, ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী, ফেনী পুলিশ সুপার জাকির হাসান এবং ই-কমার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) প্রেসিডেন্ট শমী কায়সার ।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের বিভাগীয় প্রধান (প্রকল্প ও যোগাযোগ) প্রকৌশলী কাজী তারানার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মো. মোস্তফা কামাল।
এ সময় সংশ্লিষ্ট বিভাগের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।