জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে প্রশাসন ও পুলিশের নিরপেক্ষতা নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে শুরু হয়েছে তর্ক-বিতর্ক। প্রায় সব রাজনৈতিক দলই প্রশ্ন তুলছে—নির্বাচনের সময় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সত্যিই নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করবে কি না।
সম্প্রতি বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপির সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জানিয়েছেন, প্রশাসনের সব ধরনের রদবদল তার সরাসরি নিয়ন্ত্রণে থাকবে। তবু রাজনীতিকদের মধ্যে এখনো সন্দেহ কাটেনি।
এই প্রেক্ষাপটে এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, প্রশাসন ও পুলিশের চরিত্র আসলেই কতটা বদলেছে, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়ে গেছে। তার মতে, “প্রশাসন ও পুলিশ আসলে ‘ন্যাশনাল কারেন্ট পার্টি’। অর্থাৎ, যারা যখন ক্ষমতায় থাকে বা ক্ষমতার কাছাকাছি থাকে, প্রশাসন তাদের দিকেই ঝুঁকে কাজ করে।”
শনিবার (২৫ অক্টোবর) দৈনিক যুগান্তর আয়োজিত ‘রাজনীতিতে স্থিতিশীলতা : নির্বাচন ভাবনা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে এসব মন্তব্য করেন তিনি।
হাসনাত আরও জানান, প্রশাসনের ওপর পুরোপুরি আস্থা রাখতে না পারায় তিনি নির্বাচনী কেন্দ্র দখল, ব্যালট বাক্স ছিনতাইয়ের মতো ঘটনার আশঙ্কা করছেন।
নির্বাচনী প্রচারণায় অর্থের অপ্রতিযোগিতামূলক ব্যবহার নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি। নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেন, “আমার এলাকায় গত নির্বাচনে বিজয়ী প্রার্থী ১২৬ কোটি টাকা ব্যয় করেছেন, আর পরাজিত প্রার্থীও খরচ করেছেন প্রায় ৭০ কোটি টাকা। অথচ আমি ৭০ লাখ টাকাও খরচ করতে পারব না।”
তার এই মন্তব্য প্রশাসনের নিরপেক্ষতা ও নির্বাচনী ব্যয়ের লাগামহীন প্রবণতা—দুই বিষয়কেই নতুন করে আলোচনায় এনেছে।